অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে কুপাওয়াড়ার একটি থানার ভেতর ঢুকে পুলিশ সদস্যদের ব্যাপক মারধর করেছে দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সেনাদের পিটুনিতে আহত হয়েছেন থানার হাউজ অফিসারসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য।
এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর তিন লেফটেনেন্ট কর্নেলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মঙ্গলবার রাতের দিকে থানার ভেতর ঢুকছেন সৈন্যরা।
তবে সেনাবাহিনী পুলিশ সদস্যদের মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে এটি একটি ছোট ঘটনা ছিল।
সেনাবাহিনীর যে ১৬ সদস্যের নামে মামলা করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা, হত্যাচেষ্টা এবং থানা থেকে পুলিশ সদস্যকে অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে কুপাওয়াড়ার বাটপোড়া গ্রামে এক সৈন্যর বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। মূলত একটি মামলার তদন্ত করতে সেখানে যায় তারা।
এরপর ওইদিন রাত ৯টা ৪০ মিনিটে সৈন্যরা ওই থানায় যান এবং পুলিশ সদস্যদের মারধর করেন।
সেনাদের বিরুদ্ধে করা এফআইআরে পুলিশ অভিযোগ করেছে, তিন কর্মকর্তার নেতৃত্বে পোশাক এবং অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সেনাবাহিনীর ‘১৬০ টেরিটোরিয়াল আর্মির’ সেনারা কোনো অনুমতি ছাড়া থানায় প্রবেশ করেন। তখন কোনো ধরনের উস্কানি ছাড়া থানার ভেতর থাকা পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের রাইফেলের বাট, লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। এছাড়া তাদের লাথিও মারেন সেনারা।
এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়। তখন তারা সেখানে ছুটে যান। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আসতে দেখে ‘১৬০ টেরিটোরিয়াল আর্মির’ লেফটেনেন্ট কর্নেল অঙ্কিত সুদ, রাজু চৌহান এবং নিখিল ব্রান্দিশেদ ও অন্যান্য সেনারা পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। যার মধ্যে কুপাওয়াড়া পুলিশের এসএইচও পিএস পরিদর্শক মোহাম্মদ ইশাকও রয়েছেন।
সেনারা থানা থেকে চলে যাওয়ার সময় প্রধান কনস্টেবল গোলাম রসুলকে অপহরণ করে পালিয়ে যায়।
সেনাদের মারধরে আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং বর্তমানে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Leave a Reply